বেতন-বোনাস বকেয়া নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষে অস্থির পোশাক খাত, প্রশাসক নিয়োগের চিন্তা
বাংলাদেশের পোশাক খাত বর্তমানে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস বকেয়া নিয়ে ব্যাপক আন্দোলনের মুখে রয়েছে। শ্রমিকদের অসন্তোষ এবং পণ্যের উৎপাদনব্যবস্থার বাধাগ্রস্ত হওয়া নিয়ে সরকার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান মেলেনি। এবার সরকারের পক্ষ থেকে বকেয়া বেতন পরিশোধে সমস্যাগ্রস্ত কারখানায় প্রশাসক নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন সম্প্রতি এক সভায় এই পরিকল্পনার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি জানান, যেসব কারখানা ঋণখেলাপির কারণে বেতন দিতে পারছে না, সেসব ক্ষেত্রে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বিবেচনায় রয়েছে।
প্রশাসক নিয়োগের প্রেক্ষাপট
বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা মালিকদের ঋণখেলাপির কারণে আর্থিক সংকটে পড়েছে, ফলে বেতন-বোনাস পরিশোধে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এতে শ্রমিক অসন্তোষ বাড়ছে। কিছু কারখানার ক্ষেত্রে মালিকরা অনুপস্থিত বা ঋণের বোঝা সামলাতে অপারগ হওয়ায় সরকার এই উদ্যোগ নিতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন শ্রম উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “আইনে না থাকলেও প্রয়োজনে অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রশাসক নিয়োগ কার্যকর করা হবে।”
মালিকদের প্রতিক্রিয়া এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, মালিকের অবর্তমানে প্রশাসক নিয়োগ করলে কার্যকর হতে পারে, তবে নিয়মিত পরিস্থিতিতে এটা কতটা কার্যকর হবে, সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি সাময়িক সমাধান হতে পারে, তবে শ্রমিকদের আস্থা ধরে রাখতে এবং রপ্তানি খাতের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে সরকারের আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
প্রশাসক নিয়োগের পটভূমি এবং সম্ভাব্য প্রভাব
বাংলাদেশে এর আগেও সংকটময় পরিস্থিতিতে সরকারি প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। যেমন, মোবাইল ব্যাংকিং খাত এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমস্যার সমাধানে প্রশাসক নিয়োগের ঘটনা দেখা গেছে। তবে ব্যক্তি মালিকানাধীন পোশাক কারখানায় প্রশাসক নিয়োগ কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা এখনো প্রশ্নসাপেক্ষ।
ট্যাগ:
বাংলাদেশ, পোশাক খাত, শ্রমিক আন্দোলন, প্রশাসক নিয়োগ, বেতন-বোনাস, ঋণখেলাপি
發佈留言