চট্টগ্রামের আদালত এলাকায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পর বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় একজন আইনজীবী নিহত এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
গ্রেপ্তার ও জামিন আবেদন
সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে চট্টগ্রামের আদালতে তাকে হাজির করা হলে জামিন নামঞ্জুর করা হয়।
আদালতে প্রিজন ভ্যানের ভেতর থেকে তিনি তার অনুসারীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আহ্বান জানান। তবে, বিক্ষুব্ধ জনতা আদালত চত্বর ঘিরে রাখায় পুলিশ টিয়ার সেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং লাঠিচার্জের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা
সংঘর্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্যমতে একজন নিহত হন এবং সাতজন গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। পুলিশের ১৩ জন সদস্যও আহত হয়েছেন।
ভারতের উদ্বেগ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে ভারত গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানায়।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও ইসকনের বিবৃতি
ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) তাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তবে ইসকন বাংলাদেশ এর আগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সংগঠনের কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল।
ভবিষ্যত পদক্ষেপ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী জামিন নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন। চট্টগ্রামের আইনজীবীরা আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতারা তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। তারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন