#চট্টগ্রাম #আইনজীবীহত্যা #সাইফুলইসলামআলিফ #আইনশৃঙ্খলা
সাইফুল ইসলাম আলিফের পরিচিতি
চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ গত ছয় বছর ধরে আইন পেশায় যুক্ত ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি চট্টগ্রামে প্রাকটিস শুরু করেন এবং ২০২৩ সালে হাই কোর্টে আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন। তবে নিহত আলিফ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন না, জানিয়ে আইনজীবীরা জানান।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনা
চট্টগ্রামের আদালত থেকে কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন আলিফ। হত্যাকাণ্ডের সময় তাকে আদালত চত্বরের বিপরীত রঙ্গম গলি বা মেথর পট্টিতে খুন করা হয়। পুলিশের মতে, ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে এবং এই ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আইনজীবীদের প্রতিবাদ
এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে। বুধবার কর্মবিরতি পালনের পর বৃহস্পতিবারও কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী নেতারা।
নিহতের পরিবারের অবস্থা
নিহত আলিফের পরিবারে স্ত্রী ও তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। তার স্ত্রীর আবারও সন্তানসম্ভবা হওয়া জানানো হয়েছে।
হত্যার সাথে রাজনৈতিক সংযোগ
নিহত আলিফ বিএনপি রাজনীতির সাথে সম্পর্কিত ছিলেন এবং লোহাগাড়া উপজেলায় বিএনপির লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের (বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন) সদস্য ছিলেন।
ভিডিও ফুটেজ ও তদন্ত
এ হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের কাছে কিছু ভিডিও ফুটেজ এসেছে যা থেকে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তদন্তের স্বার্থে এসব ভিডিও প্রকাশ করা হয়নি।
মামলার প্রস্তুতি
এ হত্যাকাণ্ডে বিভিন্ন মামলার প্রস্তুতি চলছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, হত্যার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আইনজীবীদের সম্মিলিত প্রতিবাদ
সাইফুল ইসলাম আলিফের মৃত্যুতে বাংলাদেশের আইনজীবী সমিতির বিভিন্ন শাখায় প্রতিবাদ কর্মসূচি চালানো হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে আদালতে হামলা ও ভাঙচুরের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, এবং এটি ঘটনাকে আরও জটিল করেছে।
সরকারী প্রতিক্রিয়া
তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন