সংবিধান বাতিল, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ এবং ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের আহ্বান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সম্প্রতি পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে প্রধানত ১৯৭২ সালের সংবিধান বাতিল, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ, এবং ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা অন্তর্ভুক্ত। এই আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, তারা ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে’ চিরতরে নির্মূল করার লক্ষ্যে এই দাবি উত্থাপন করেছেন।
আন্দোলনকারীরা চান, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পক্ষ থেকে একটি নতুন সংবিধান লেখা হোক এবং রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যেন পদত্যাগ করেন। এছাড়া, ২০১৪, ২০১৮, এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনগুলোকে অবৈধ ঘোষণা এবং নির্বাচিত ব্যক্তিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।
‘প্রক্লেমেশন অব রিপাবলিক’: নতুন সংবিধানের আহ্বান
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ ‘প্রক্লেমেশন অব রিপাবলিক’ ঘোষণার মাধ্যমে চব্বিশের বিপ্লবের স্বীকৃতি দাবি করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, এই প্রস্তাবিত নতুন সংবিধানের অধীনে দেশের প্রশাসনিক কাঠামো পরিচালিত হবে এবং আওয়ামী লীগের বিরোধিতাকারী সবাই এতে স্বাক্ষর করবেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রতিক্রিয়া
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালে ঘোষিত ‘পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’ ইতিমধ্যেই দেশের প্রথম ও একমাত্র ‘প্রক্লেমেশন অব রিপাবলিক’। তিনি মনে করেন, নতুন কোনো প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করতে হলে তা বিস্তারিত তাত্ত্বিক ব্যাখ্যার দাবি রাখে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদা রওনক খান এবং জোবায়দা নাসরীন বলেন, জনসমর্থন ছাড়া এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা অসম্ভব। তারা উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অভ্যন্তরে মতাদর্শগত বিভক্তি স্পষ্ট, যা সার্বজনীন দাবির ভিত্তিতে আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করছে।
發佈留言