সায়মা ওয়াজেদকে ঘিরে বিতর্ক: বাংলাদেশের অনাগ্রহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ বাড়াচ্ছে

作者:

分類:

বাংলাদেশের অনাগ্রহ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিক্রিয়া

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদের সাথে কাজ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে, যা এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জন্য এক নজিরবিহীন অবস্থা সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের সরকার সায়মা ওয়াজেদকে এড়িয়ে সরাসরি সংস্থার প্রধান দপ্তরের সাথে কাজ করতে চায় এবং এ বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠিও প্রেরণ করেছে।

আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে সায়মা ওয়াজেদের যোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক

সায়মা ওয়াজেদের যোগ্যতা নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদের জন্য প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ঘাটতি থাকায় তার নিয়োগ নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠেছে। চিকিৎসা সাময়িকী দ্য ল্যানসেট এবং ফাইনান্সিয়াল টাইমস এ সম্পর্কিত প্রকাশনায় স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এবং তার পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতার অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাঠামো ও বাংলাদেশের অবস্থান

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, সদস্য রাষ্ট্রগুলো আঞ্চলিক অফিসের মাধ্যমেই সাধারণত কাজ করে। তবে কোনো দেশ চাইলে আঞ্চলিক পরিচালককে পাশ কাটিয়ে প্রধান দপ্তরের সাথে সরাসরি কাজ করতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের এই অনুরোধ যুক্তিসঙ্গত হতে পারে, তবে সায়মা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন করাই যৌক্তিক হবে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা

সায়মা ওয়াজেদ-এর মা এবং বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত হন এবং পরিবারটির বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা দায়ের হয়েছে। এই পরিস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মধ্যে রাজনৈতিক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস ঘেব্রেইয়েসাস-এর মতই, সায়মা ওয়াজেদকেও রাজনৈতিক চাপে পড়তে হতে পারে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না, তবু বাংলাদেশের মত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাষ্ট্রের আপত্তি সংস্থার অভ্যন্তরে কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

ট্যাগ:

বাংলাদেশ, সায়মা ওয়াজেদ, শেখ হাসিনা, স্বাস্থ্য, রাজনীতি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জনস্বাস্থ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া