আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে ভারতের শক্তিশালী অবস্থান
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাম্প্রতিক মন্তব্য চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (CPEC) নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। এসসিও সম্মেলনের মঞ্চে তিনি চীন ও পাকিস্তানকে সরাসরি আক্রমণ না করে কৌশলীভাবে আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধার বার্তা দিয়েছেন। তার এই বক্তব্য দুই দেশের প্রতি ভারতের স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরে, যেখানে একতরফা এজেন্ডার বিরোধিতা করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মন্তব্য পাকিস্তান এবং চীনের যৌথ বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের অংশ হিসেবে পরিচালিত CPEC-এর বিরুদ্ধে ভারতের পুরনো বিরোধিতাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের অবস্থান যথাযথ এবং কূটনৈতিকভাবে শক্তিশালী। অন্যদিকে, পাকিস্তানি বিশ্লেষকরা মনে করেন, জয়শঙ্করের সুর কিছুটা নরম ছিল এবং তিনি সরাসরি বাকযুদ্ধ এড়িয়ে গেছেন।
ভারতের সুস্পষ্ট বার্তা
জয়শঙ্কর তার বক্তব্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, আঞ্চলিক সংযোগ এবং অংশীদারিত্ব শুধুমাত্র তখনই কার্যকর হতে পারে যখন সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়। তার এই বক্তব্যে CPEC-এর মাধ্যমে পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের উপর দিয়ে যাওয়া রুটের বিরোধিতার প্রেক্ষাপটও উঠে আসে।
সম্পর্কের সম্ভাবনা ও সীমাবদ্ধতা
এই সম্মেলনে জয়শঙ্করের উপস্থিতি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সফর তাৎক্ষণিক কোনো পরিবর্তন আনবে না। তবে সৌজন্যপূর্ণ এই সফর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে কৌশলগত একটি বার্তা প্রদান করেছে।
ট্যাগ:
- ভারতের পররাষ্ট্রনীতি
- চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর
- সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)
- আঞ্চলিক অখণ্ডতা
- সার্বভৌমত্ব
- ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক
發佈留言