যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গুরুত্ব
আজ যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, যা বিশ্বব্যবস্থার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের সঙ্গে আরো চার জন প্রার্থী, কর্নেল ওয়েস্ট (স্বতন্ত্র), জিল স্টেইন (গ্রিন পার্টি), চেজ অলিভার (লিবারটেরিয়ান পার্টি), এবং ক্লডিয়া দে লা ক্রুজ (পার্টি ফর সোস্যালিজম অ্যান্ড লিবারেশন) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তবে তাদের আলোচনা খুব সীমিত।
যুক্তরাষ্ট্রে ভোটার সংখ্যা ২৪ কোটি ৪০ লাখ। আজ মূল নির্বাচনের দিন হলেও আগাম ভোট দেওয়া শুরু হয়েছে অনেক আগে। ইতোমধ্যে সাত কোটিরও বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। এই নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে পুরো বিশ্বের অর্থনীতি, রাজনীতি এবং কূটনীতি। বিশ্বের কোটি কোটি চোখ যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে আছে, কারণ এই নির্বাচনের ফলাফল আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ভবিষ্যৎ
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সম্পর্ক গত কয়েক বছরে অনেক উন্নতি হয়েছে, যদিও মানবাধিকার ইস্যুতে কিছু টানাপড়েন দেখা গেছে। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির শীর্ষ গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র, এবং সেখানে অধিকাংশ বিদেশী বিনিয়োগও এসেছে। বিশেষ করে, রেমিট্যান্সের অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই, বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না।
পাসপোর্ট ও রাজনৈতিক পট পরিবর্তন
দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনামে জানানো হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের মন্ত্রীদের লাল পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিরীন শারমিন চৌধুরীর পাসপোর্ট বাতিল হওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে, এবং আত্মগোপনে থাকা সাবেক স্পিকার ঘরে বসেই নতুন ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন।
নাগরিকত্ব ইস্যু
দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ২৪ জন মন্ত্রী ও এমপির বিদেশি নাগরিকত্ব রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে জানা গেছে, এই নেতাদের মধ্যে কেউ সাইপ্রাসের নাগরিকত্ব নিয়েছেন, কেউ বেলজিয়ামের রেসিডেন্স কার্ড পেয়েছেন এবং কেউ যুক্তরাজ্যের নাগরিক। দেশের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, বিদেশি নাগরিকত্ব অর্জন করলে সংসদ সদস্য হওয়া সম্ভব নয়।
রাষ্ট্রদূত নিয়োগে প্রশ্ন
মানবজমিন পত্রিকার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রদূত পদমর্যাদায় প্রস্তাবিত নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা সরকারি চাকরির পাশাপাশি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সরকার এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে আশ্বাস দিয়েছে।
বিদ্যুৎ ও শক্তি খাতে বকেয়া পরিশোধের পরিকল্পনা
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার বিদ্যুৎ ও শক্তি খাতে ৫০,০০০ কোটি টাকার বকেয়া পরিশোধের জন্য বিশেষ বন্ড জারি করার পরিকল্পনা করছে। সীমিত রাজস্ব সংগ্রহের কারণে অর্থ মন্ত্রণালয় মাসে মাত্র দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে পারছে, তাই এই বন্ডের মাধ্যমে কিছু পরিমাণ বকেয়া পরিশোধের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
পুলিশের বলপ্রয়োগ পদ্ধতির পরিবর্তন
সমকাল পত্রিকার প্রতিবেদনে পুলিশ সংস্কার কমিশন ফৌজদারি কার্যবিধির কিছু ধারা পরিবর্তনের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করছে এবং মব নিয়ন্ত্রণে বলপ্রয়োগ পদ্ধতি বদলের দিকে জোর দিচ্ছে।
সংবিধান সংস্কারের ঐকমত্যের গুরুত্ব
দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন মন্তব্য করেছেন যে, সংবিধান সংস্কার ঐকমত্যের মাধ্যমে হওয়া উচিত। মানুষের মতামত নিয়ে পরিবর্তন করা দরকার এবং কোনও ব্যক্তির একক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এটি পরিবর্তন করা ঠিক নয়।
চাঁদপুরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি
আজকের পত্রিকার প্রতিবেদনে চাঁদপুরের ডা. দীপু মনির সাম্রাজ্যের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। দীপু মনির নিয়ন্ত্রণে থাকা রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটছে, যার ফলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
বিএনপির মামলা নিষ্পত্তির অগ্রগতি
যুগান্তর পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া ‘কচ্ছপ গতিতে’ চলছে, যা তৃণমূলের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করছে।
ট্যাগ: নির্বাচন, যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ, অর্থনীতি, নাগরিকত্ব, পাসপোর্ট, রাষ্ট্রদূত, পুলিশ সংস্কার, সংবিধান, বিএনপি
發佈留言