যুক্তরাষ্ট্রে পপুলার ভোট বেশি পেয়েও একজন প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত নাও হতে পারেন। এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের পাশাপাশি আইনসভার সদস্যদেরকেও বেছে নিবেন মার্কিন নাগরিকরা।
নির্বাচন কবে?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ নভেম্বর, ২০২৪। সেদিন ভোটারদের রায়ে নির্বাচিত ব্যক্তি ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে পরবর্তী চার বছরের জন্য রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকবেন।
প্রধান দল কোনগুলো?
যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানত দুইটি রাজনৈতিক দল রয়েছে: ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং রিপাবলিকান পার্টি। ডেমোক্র্যাটরা নাগরিক অধিকার ও পরিবেশ সংরক্ষণ নীতি, আর রিপাবলিকানরা রক্ষণশীল নীতি প্রচার করে।
এবার মূল প্রার্থী কারা?
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমালা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। হ্যারিস বর্তমান ভাইস-প্রেসিডেন্ট, এবং ট্রাম্প পূর্বের প্রেসিডেন্ট।
প্রচারণার ইস্যু কোনগুলো?
মার্কিন নির্বাচনে অভ্যন্তরীণ সংকট, অর্থনৈতিক মন্দা, গর্ভপাত আইন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, এবং গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ সহ গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে উপস্থিত হয়েছে।
কারা ভোট দিতে পারেন?
১৮ বছর বা তার উপরের যেকোনো মার্কিন নাগরিক ভোট দিতে পারবেন। ভোটার নিবন্ধন সাধারণত অঙ্গরাজ্যগুলোর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
ভোট বেশি পেলেই প্রেসিডেন্ট?
নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পান, তিনিই সাধারণত জয়লাভ করেন। কিন্তু ইলেক্টোরাল কলেজের কারণে, একজন প্রার্থী বেশি পপুলার ভোট পেয়েও বিজয়ী নাও হতে পারেন।
‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ আসলে কী?
ইলেক্টোরাল কলেজ হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ব্যবহৃত একটি জটিল ব্যবস্থা, যা প্রতি চার বছরে গঠন করা হয়। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে ইলেকটরসের সংখ্যা নির্ধারিত হয় কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্বের অনুপাতে।
এই ১২টি বিষয় জানালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রক্রিয়া এবং কার্যক্রম সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যাবে।
發佈留言